সোমবার, ৩ জুলাই, ২০১৭

ওঃ, বাংলাটা কী কঠিন!



ওঃ, বাংলাটা কী কঠিন!

অহনলিপি-বাংলা১৪  ফন্ট AhanLipi-Bangla14 font  
ডাউনলোড করে নিজেকে আধুনিক করে তুলুন৤  

অহনলিপি-বাংলা১৪ ফন্ট হল-- 
(১)সেকেন্ড জেনারেশন ফন্ট
(২)স্মার্ট ফন্ট
(৩)বর্ণসমবায় ফন্ট
(৪)আলটিমেন্ট ফন্ট
এবং
(৫)বাংলা ফন্ট টেকনোলজির ফলিত প্রয়োগ৤








লেখাটি অহনলিপি-বাংলা১৪(AhanLipi-Bangla14) ফন্টে পড়তে হবে, নচেৎ লেখাটি দুষ্পাঠ্য হবে৤  

 ফন্ট প্যাকেজ ডাউনলোড লিংক:






সঙ্গে দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে৤

অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default text font setting)
Default text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং

এবং


অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools  
              Options--contents
              Fonts and Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                                    -- OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            -- OK
 -- OK

          এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে৤ নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে৤








ওঃ, বাংলাটা কী কঠিন! 
                        মনোজকুমার দ. গিরিশ



        বিদেশিদের কাছে বাংলাটা কঠিন মনে হবেই, আমাদের কাছে যেমন অন্য যেকোনও বিদেশি ভাষা কঠিন মনে হবে৤ রোটোকাস বর্ণমালায় যদি মাত্র এগারোটি(১১) হরফ থাকে,  বা হাওয়াইয়ান দ্বীপের বর্ণমালায়-- ১২টি হরফ, তবুও তা আমাদের কাছে কঠিন মনে হবে৤ আবার ৪০ থেকে ৫০ হাজার হরফ/চিহ্ন বিশিষ্ট চিনা ভাষাও সমান কঠিন৤ আমাদের কাছে সে ভাষার অপরিচয়ই তার কাঠিন্যের কারণ৤ তাই বাংলাটা আমাদের কাছে সহজ মনে হয়, ইংরেজিটা ততো সহজ নয়৤ যদিও শিরোনামের কথাটা, অর্থাৎ ‘ওঃ, বাংলাটা কী কঠিন!’ বলেছে ইংরেজি মাধ্যমে পড়া একজন বাংলাভাষী ছাত্র৤ বাংলা তার মাতৃভাষা হওয়া সত্বেও তার কাছে কেন এত কঠিন মনে হল? 


একটু আলোচনা করা যাক বাংলার হদ্দমুদ্দোর ব্যাপার নিয়ে৤ এক কালে বাংলায় স্বরবর্ণ ছিল ১৬টা 

 
                                     (১৭৭৮খ্রিঃ)

         

            আর ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৪টা  






                              (১৭৭৮খ্রিঃ)




তখন এই বর্ণগুলিকে কিন্তু স্বরবর্ণ বা ব্যঞ্জনবর্ণ, বলা হয়নি৤ বলা হয়েছে, প্রথম তালিকা(Series), এবং দ্বিতীয় তালিকা(Series)৤ এদের দুয়ে মিলে ৫০টা৤ এখনও তা প্রায় একই আছে, তবে তার অনেকখানিই পালটে গেছে৤ স্বরবর্ণ হয়েছে ১১টা(নতুন প্রস্তাবে হওয়া উচিত ৭টা) আর ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টা(নতুন প্রস্তাবে ৩৪টা)৤ স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ দুটো থেকেই ৫টি করে বর্ণ বর্জিত হবে৤ তাই ১১-৫=৬+নতুন ১টি=৭টি (ঌ=লি তো আগেই বাতিল হয়েছে), আর ব্যঞ্জনবর্ণ ৪০-১=৩৯(অন্তঃস্থ-ব বর্জন করে)৤ সেই ৪০ থেকে ৫টি বাদ দিলে(ঞ, ণ, য, অন্তঃস্থ-ব, ষ) থাকে ৩৫টি৤ এখন বাংলায় আছে ১১+৩৯=৫০টি বর্ণ৤ হওয়া উচিত ৭+৩৫=৪২টি বর্ণ৤
          প্রথম বিচল হরফে ছাপা বই হ্যালহেড সাহেবের A Grammar of the Bengal Language বইয়ে বাংলা বর্ণমালা ছিল ১৬+৩৪=৫০টি৤ বইটি কিন্তু ইংরেজি বই৤ ইংরেজদের বাংলা শেখার উদ্দেশ্যে লেখা৤ ইংরেজ সিভিলিয়ানরা যাতে দেশীয় ভাষায় কাজকর্ম করতে পারে৤
পরে বিদ্যাসাগর মহাশয় বাংলা বর্ণমালার প্রভূত সংস্কার করে ১২+৪০=৫২টি করেন৤ সেটা এখন আবার কিছু সংস্কার করে হয়েছে ১১+৩৯=৫০টি(অন্তস্থ-ব বর্জন করে, আর ঌ=লি বর্ণটি তো আগেই অলক্ষ্যে বাতিল হয়ে গেছে)৤
          এই যে সংখ্যা ৫০ তার একটু এদিক ওদিক হয়েছে নানা সময়ে, কিন্তু তা আমূল পালটে যায়নি৤ সেটা পালটাবে বাংলার নতুন বানান প্রস্তাবে৤ তখন তা দাঁড়াবে সর্বমোট ৪২টি৤ সে আলোচনা এখানে করা হবে না৤ সেটা নেটে অন্যত্র করা হয়েছে[ (চারটি অংশ)বাংলাভাষা সংস্কার Bangla Bhasha Sanskar



       বাংলায় আছে ১১+৩৯=৫০টি হরফ, ইংরেজিতে ছোটোহাত, বড় হাত মিলিয়ে ২৬+২৬ মোট ৫২টি৤ অর্থাৎ বলা যায় সংখ্যায় বাংলা বর্ণেরই সমান, তাই ইংরেজি লেখা পড়ার সঙ্গে বাংলা লেখাপড়া সমতুল হওয়া উচিত৤ কিন্তু সমতুল নয়৤ কেন নয়, তার কারণ বাংলায় সত্যি সত্যি ৫০টি হরফ থাকলেও বস্তুত এর সঙ্গে যুক্ত হবে আরও ৩৯৫টি যুক্তবর্ণ, অর্থাৎ ৫০+৩৯৫=৪৪৫+স্বরচিহ্ন ১০+ফলা বা ব্যঞ্জনচিহ্ন ৮টি তো অতিরিক্ত, তাই হিসেবে ১১+৩৯+৩৯৫+১০+৮=৪৬৩টি হরফ ও চিহ্ন মিলিয়ে৤ যুক্তবর্ণগুলি হল বর্ণচিহ্ন ও বর্ণের দলা বা মণ্ড৤ এই মণ্ডহরফ সমূহ বাংলা লেখাপড়াকে সামগ্রিকভাবে পিছিয়ে রেখেছে৤ সকল এই মণ্ডগুলিকে সকলেই নিশ্চিতভাবে লিখতে পারেন না, পড়তে পারেন না, বুঝতেও পারেন না৤
          তাহলে এগুলি আছে কেন? আছে, চলে আসছে বলে৤ এসব বাদ দিয়ে বাংলা লেখা যাবে না৤ অথচ এসব সরল করে লেখার তেমন উদ্যোগ দেখা যায় না৤ ফলে ‘বাংলাটা বড় কঠিন’৤ স্বাভাবিক৤
          যুক্তবর্ণ কী? দুটো বা তিনটে হরফের অংশ নিয়ে দলা পাকানো প্রায় এক-একটি নতুন হরফ, তবে মূল বর্ণমালার হরফ নয়৤ তাই বাংলায় শুধু ৫০টি হরফ নেই আছে প্রকৃতপক্ষে ৪৪৫টি বা ৪৬৩টি৤ তা সামলানো খুব কঠিনই৤ লেখার বিসদৃশ ব্যবস্থাপনার জন্যই বাংলা কঠিন বা জটিল হয়ে আছে৤ দলা পাকানো এ হরফগুলি কি সহজ সরল করা যায় না? যায়, কিন্তু তেমন গভীর উদ্যোগ দেখা যায় না৤ আমরা ‘চি—ও’ কি ‘চিত্ত’ লিখতে পারি না? চেষ্টা করলে পারি, তাতে বোঝা সহজ হয়৤ কিন্তু সহজ কি আমরা করতে চাই? হয়তো চাই, কিন্তু  বেড়ালের গলায় কে ঘণ্টা বাঁধবে?
          তেমন বোকা পাওয়া কঠিন৤ অবশ্য বোকা বলেই সেই বোকামির দায়টা আমি ঘাড়ে নিয়েছি অনেক কাল আগেই৤ সেটা ১৯৭০-এর আগে থেকেই৤ তখন পড়ার চেয়ে ‘লাশ’ পড়াই ছিল সাধারণ ব্যাপার৤ সন্ত্রাসের সেই রাজত্বে এই আঁকা আঁকিতে কী লাভ? লাভ যা হয়েছে, তাতে বাংলা লেখা যুক্তিগত দিক থেকে নিশ্চিতভাবে ইংরেজি লেখাকে ছাপিয়ে গেছে৤
          সে ছাপানোর কাহিনি জানতে হলে নিচের লিংকে দেখতে হবে:

বাংলা লেখা ছাপিয়ে গেল ইংরেজিকে : http://banglamoy.blogspot.in/2014/10/blog-post.html

কথাটা মানতে কষ্টই হবে, সে জন্য এটা না পড়ে আমাকে নিন্দামন্দ করা চলবে না৤ বোকাটা যে কেমন বোকা, তা বুঝে নিতে হবে তো আগে! বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে গিয়ে বেড়ালের পেটে হজম হয়ে গেল কিনা, হাঃ হাঃ৻  
          তা এসব বিপথে যাবার প্রবণতা হল কেন? হবার কারণ হল, কারিগরি বিদ্যে পড়ার শুরুতে ইংরেজি হরফ “আঁকা” শেখায়৤ হ্যাঁ আঁকাই, সেট-স্কোয়ার, টি, স্কেল, কম্পাস, পেনসিল ইত্যাদি দিয়ে হরফ আঁকতে হয়৤ হাতে লিখলে হয় না৤ এতে ড্রইং করার কৌশল রপ্ত হয়, দক্ষতা বাড়ে৤ বেশ কথা, মনে প্রশ্ন এলো, বাংলা হরফ কি এভাবে আঁকা যায়? না, এভাবে তো বাংলা হরফ আঁকা যায় না৤ কারিগরি বিদ্যে পড়ানো হয় ইংরেজিতে তাই, ইংরেজি হরফ আঁকা হয়৤ বাংলা কোথায় পিছনে পড়ে আছে৤
          মনশ্চক্ষে যেন দেখতে পেলাম বাংলা কয়েকটি হরফের গঠন৤ দেখা যাক, তেমন করে বাংলা হরফ আঁকা যায় কিনা? বহু বহু আয়াসে বছর তিনেকের চেষ্টায় কাজটা করা গেল৤ সমস্যায় পড়ে গেলাম যুক্তবর্ণ লিখতে গিয়ে৤ ৫০টা হরফ, ১০ স্বরচিহ্ন, ৮ ফলা চিহ্ন মিলে ৫০+১০+৮=৬৮টি রূপহল৤ এবার এমনি করে যদি ৩৯৫টি দলাপাকানো মণ্ড হরফের রূপ আঁকতে হয় তবে কাজটা আর হবেই না৤ স্পষ্ট ভাবে বোঝা গেল এতদিন কেন তা কেউ করেননি৤ এই বারে ভাবতে হল, ত+ত=—ও হবে কেন, তা হওয়া উচিত ‘ত্ত’৤ ত+র=—এ, কিন্তু হওয়া উচিত ত্র(কিংবা ত্‍র)৤ আবার ষ+ণ=ষ৏  না হয়ে তা হওয়া উচিত ষ্ণ৤ আমরা হরফ বিকৃত করে কেন লিখব, লেখায় হরফ সরাসরি দেখানোই তো ঠিক৤ তাতে বোঝা সহজ হবে, আর ৩৯৫ রকম দলা পাকাতে হবে না৤ হরফের দলা পাকিয়ে লেখা, হাতে-লেখার যুগে চলেছে বলে এই আধুনিক কম্পিউটার বা তথ্যপ্রযুক্তির যুগেও হরফের দলা কেন পাকানো হবে? এখনও কেন আমাদের প্রাচীন মানুষের মতো খড়ম পায়ে দিতে হবে? আটার দলা আর হরফের দলা কি একই ব্যাপার? একটায় খাদ্য তৈরি হয়, আর অন্যটায় লেখাপড়ার সর্বনাশ৤ এমনি সর্বনাশের ঘর করা কি চলতে থাকবে?  
          এক সময়ে অফিস কাছারিতে, কিংবা ব্যবসায়ে কম্পিউটার ঢোকা বা ব্যবহারে তীব্র বাধা দেওয়া হয়েছিল৤ তার একটা এক-পক্ষীয় প্রবল অর্থনৈতিক কারণ ছিল৤ কিন্তু তাতে শেষ অবধি আধুনিক প্রযুক্তিকে ঠেকানো গেল না, বরং উলটে এব্যাপারে অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকতে হল৤ সারা বিশ্বে সবাই গ্রহণ করছে, আমরা গ্রহণ না করে একঘরে হয়ে কী করতে পারব? কম্পিউটারে দশ বছর পিছিয়ে গিয়ে লোকসানই হয়েছে, অনেক অনেকখানি  লোকসান৤ ভারতে এক কালে ইংরেজি আগে আগে শিখে বাঙালি সবার থেকে এগিয়ে ছিল, এবার কম্পিউটারেরও সেই একই ভূমিকা, কিন্তু বাধা দিয়ে, অনীহায় পিছিয়ে যেতে হল৤ ইংরেজি এবং কম্পিউটার দক্ষ হলে সারা বিশ্বেই তার ভাতের জোগাড় হবে৤ সেই ভুলটা হয়েছে৤ আর তাছাড়া, ইংরেজির গুরুত্ব বিদ্যালয়ে কমিয়ে দিয়ে বাংলার গুরুত্ব বাড়ানো হল৤ নিশ্চিত ভালো ব্যবস্থা৤ কিন্তু অফিস কাছারিতে বাংলার গুরুত্ব একটুও বাড়ল না, ইংরেজি সমান দাপটে বহাল রইল৤ এই দুটি ভুল পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে৤
          বাংলা হরফ আঁকা মোটামুটি শেষ হল ১৯৭০-এ, তখন চারিদিকে তুমুল রাজনৈতিক অস্থিরতা৤ যাঁরা বয়স্ক তারা তা দেখেছেন৤ ভোরে ঘুম থেকে জেগে উঠে মনে হত তাহলে গতকাল বেঁচে ছিলাম৤ সে সব অন্যেরা শুনেছে৤
          যাহোক, সেই বাংলা হরফের গঠন কীরকম তা দেখা যাক--












লেখা হয়েছে ‘বন’৤ 







          উপরে একটি বাক্য লেখা হয়েছে, বলা যেতে পারে আঁকা হয়েছে, তার মধ্যে বাংলা সকল স্বরবর্ণ(১১), সকল ব্যঞ্জনবর্ণ(৪০), সকল স্বরচিহ্ন(১০), সকল ব্যঞ্জন চিহ্ন তথা ফলা(৮) এবং সংখ্যা(১০) দেখানো হয়েছে৤ ইংরেজিতে যেমন একটি বাক্যে সকল হরফ নিয়ে বাক্য আছে-- The quick brown fox jumps over the lazy dog.

বাংলায় তেমন নেই, প্রয়োজন হয়নি৤ সেজন্য আমি এই বাক্যটি তৈরি করেছি, যদিও নেটের পাঠকেরা বলেছেন, এটি বেশ আড়ষ্ট৤ এবং তাঁরা স্বীকার করেছেন যে, চেষ্টা করেও তাঁরা এরকম পূর্ণাঙ্গ বাক্য তৈরি করতে পারেন নি৤ হলে বাংলার পক্ষে ভালো হত৤ যাহোক বাক্যটি হল--






উপরে বাক্যটি দেখানো হয়েছে ‘অহনলিপিতে’ সেটি এবার “নীরবিন্দু” হরফে দেখা যাক--









          এই ধরনের হরফে ছাপতে পারলে, স্থান সংকোচন হবে প্রায় ৪০ শতাংশ, ফলে মুদ্রণব্যয় কমে বইয়ের দাম কমে যাবে৤ সাধারণ হরফকে এমনি গঠনের করে নিলে তা করায় কোনও বাধা হবে না৤

          যাঁরা এটি অনুধাবন করলেন না, গভীর কাদায় নামতে চাইলেন না, তারা নিন্দা করলেন, ব্যঙ্গ করলেন৤ কী আর করা৤ তবে ‘আজকাল’ সংবাদপত্র এ নিয়ে আমার লেখা প্রকাশ করেছে, আর সেই সূত্রেই তো যখন পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সূচনার উদ্দেশ্যে সেমিনার হয়, সেই অনুষ্ঠানের সভায় আমাকে বলতে ডাকা হয়েছিল৤ আমি বলেও ছিলাম, কিন্তু নিন্দা-ব্যঙ্গই হয়েছিল৤ এতকাল পরে তা হয়তো লোকের মনে কিছুটা সাড়া তুলতেও পারে৤ যদিও অবশ্য সে যুগেই যাঁরা বুঝতেন তাঁরা অঢেল প্রশংসা করেছেন৤ তাদের মধ্যে আছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান খ্যাত অধ্যাপক পবিত্র সরকার(পরে তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছিলেন)৤ এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, এবং সাহিত্য একাডেমীর পশ্চিমবঙ্গীয় প্রধান৤ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চিঠিতে লিখেছিলেন, এটা তো আমাদেরই করা উচিত ছিল৤

একটি ঘটনা বেশ মনে পড়ে, একবার অফিসের বার্ষিক অনুষ্ঠানের পত্রিকা প্রকাশের ব্যাপারে ছাপাখানায় গিয়েছি, সেখানকার তরুণ মালিক জানালেন, বাংলাভাষায় এমন গভীর গবেষণা হচ্ছে দেখে তাঁরা খুব আনন্দিত হয়েছিলেন, এবং পেপার কাটিং রেখে দিয়েছিলেন৤ এসব অবশ্য পড়ে-পাওয়া প্রশংসা, তবে সেটাই খাঁটি, কারণ কোনও পরিচয় ছিল না, এবং সাধারণ মানুষের ধারণাই এতে প্রতিফলিত হয়েছে৤ তাছাড়া, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কম্পিউটার গবেষক তাঁর গবেষণা পত্রে এটি রেফারেন্স হিসেবে  উল্লেখ করেছিলেন, তিনি তখন কম্পিউটারের জন্য বাংলা ফন্ট/হরফ বানাতে প্রথম উদ্যোগী(সমর ভট্টাচার্য, এখন অধ্যাপক), এবং সেখানকার টেকনিক্যাল কলেজের গ্রন্থাগারিক(গীতিকা চক্রবর্তী) তাঁর এম.ফিল পত্রে এটি রেফারেন্স হিসেবে দেখিয়েছিলেন৤ তাঁরা যে এই বিপুল কর্দমে নেমে তা ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন সেজন্য তাঁদের ধন্যবাদ৤  
          এখানে, সিঙ্গল স্ট্রোক, ডাবল স্ট্রোক, এবং থ্রি-ডাইমেনশন হরফ আঁকা হয়েছিল৤ নিচে যে চিত্রটি দেখানো হয়েছে সেটিতে থ্রি-ডাইমেনশনাল করে লেখা হয়েছে-- “বাংলা”৤ অনভ্যাসে দেখ মনে হবে যেন কিছু এলোমেলো দাগ৤










          এই হরফগঠনকে মূল ভিত্তি ধরে আরও কিছু নতুন নতুন হরফ গঠন বাংলায় করা হয়েছে, তার কিছু উদাহরণ দেখা যাক--






          তবে বলে রাখা ভালো যে, বাংলা বানান সংস্কার করা নিয়ে আমার কিছু ক্রেজ(craze পাগলামো) আছে, সেই অনুযায়ী এই নতুন লিপিগঠনগুলি করা হয়েছে৤ হয়তো ভবিষ্যতে মানুষ এসব গ্রহণ করতেও পারেন, বা ঝেঁটিয়ে বিদেয় করতেও পারেন৤ বাংলাভাষার সব্বোনাশ করার চক্রান্তে তাঁরা মত দেবেন না৤ যেমন ১৯৪৯-এ তৈরি হওয়া ‘পূর্ববঙ্গ সরকারী ভাষা কমিটি সোপারেশ’ বাংলাদেশের বাংলাভাষা সংস্কারে কাজে আসেনি৤ তবে তার ব্যাপারেও আমার কিছু বলার আছে, তাঁরা যদি বলতেন, এক-একটি ধারা ধরে ৫০ বছরে একটু একটু করে বানান সংস্কার হবে, তবে হয়তো তা জনমনে গ্রাহ্য হত, নয়তো একবারে তা করতে গেলে, বাংলাভাষা আর বাংলাভাষা বলেই চেনা যেত না৤ সেটা মানুষ হয়তো মেনে নিতে পারেননি৤
তখন সেখানে বাংলাভাষার উপরে উর্দু চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাই এধরণের কাজকে বাংলাভাষার বিরুদ্ধে ‘চক্রান্ত’ বলে ধরে নেওয়া স্বাভাবিক ছিল৤
          যখন হরফ আঁকা ইত্যাদি চলছে, তখনও কম্পিউটার বাজারে আসেনি৤ ডেসকটপ হিসেবে কম্পিউটার বাজারে আসে ৮০-র দশকের মাঝামাঝি৤ তাই আমার ক্রেজ অনুসারে হাতের ছাপা খানায় তা কাজে লাগানো যায় কিনা তা দেখতে চাইলাম৤ আমার চেয়ে বয়স্ক এক গবেষক বন্ধুর সঙ্গে লেগে গেলাম তা টাইপ-রাইটারে প্রয়োগ করা যায় কিনা তা দেখতে? সে-পরীক্ষা করার বিপুল ব্যয় বহন করা যাবে না দেখে, তখন ঝুঁকলাম কম্পিউটারে তা প্রয়োগ করা যায় কিনা তা দেখতে৤ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সমর ভট্টাচার্যের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে এগোবার চেষ্টা করলাম৤ যদিও খুব সুবিধে হল না৤ যাহোক লেগে রইলাম, নিজেদের বাড়ির কম্পিউটারে কাজ চলতে লাগল৤ অফিসে অসবর সময়ে কিছু চেষ্টা চলতে লাগল৤ তখনও কম্পিউটারে বাংলা লেখা যেত না৤ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সমর ভট্টাচার্যই প্রথম কম্পিউটারে বাংলা লেখার পদ্ধতি তৈরি করেন৤ আমার কাজ আলাদা ধরনের, তাই আমার মতো করে আমার কাজ চলল৤ বহু ঘাটের জল খেয়ে শেষ অবধি অবশ্য কম্পিউটারে বাংলা লেখার জন্য আমার ফন্ট(হরফসমূহ) তৈরি করতে পারলাম৤ লেখা চলল৤ ভুল ত্রুটি যা চোখে পড়ে তা সংশোধন করে দিতে থাকি৤ শেষে এক সেমিনারে একজন অধ্যাপক বললেন বাংলায় ইউনিকোড ফন্ট বানাতে হবে৤ ইউনিকোড ফন্ট নামটি তখনও আমার কাছে ততোটা সুপরিচিত নয়৤ যে ফন্টে তখন লেখা চলত তাতে একজনের লেখা অন্যের কম্পিউটারে কপিপেস্ট করা যেত না৤ কারণ তখন দুজনের একই নামের একই ফন্ট থাকতে হত৤
          এবারে লেগে পড়লাম ইউনিকোড ফন্ট তৈরির বাসনায়৤ আমার কাছে তা ভেলা নিয়ে সমুদ্র পার হবার মতো অতীব কঠিন, কিন্তু ক্ষমতা অতি দীন৤ বছরের পর বছর লেগে রইলাম৤ অবশেষ সাফল্য এলো৤ দেখলাম যে অন্য বাংলা ইউনিকোড ফন্টের চেয়ে আমার ফন্টটি বরং অনেকটা অগ্রগত৤ এটি হল দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলা ইউনিকোড ফন্ট৤ আর লেখার লজিকে তা ইংরেজি লেখাকে ছাপিয়ে গেল৤
একটি লিংক থেকে বাংলা দ্বিতীয় প্রজন্মের ফন্ট প্রসঙ্গটি দেখা দরকার, তাতে ধারণা স্পষ্ট হবে: http://banglabhashanetwork.blogspot.in/2016/03/blog-post_22.html
          কিবোর্ড সহ সে ফন্ট নেটে দেওয়া আছে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নেবার জন্য৤ এই ফন্টে বাংলা লেখা, বোঝা, পড়া অতি সহজ হয়ে গেছে৤ বাংলার সকল তথা ৩৯৫টি যুক্তবর্ণই সরল করে লেখা যাবে৤ যে সংকটের জন্য বাংলা লেখাপড়া কঠিন হয়ে ছিল৤ দলাপাকানো যুক্তবর্ণগুলি হল এক-একটি সিমেন্ট স্ল্যাব৤ তাই বাংলাভাষী ছাত্রই বলত, ওঃ, বাংলাটা কী কঠিন!
বাংলা এখন আর কঠিন নেই৤
          আমার দই টক নয়, একবার চেখে দেখুন!
          বরং বাংলা এখন অন্যদের চেয়ে অনেক সোজা৤ যুক্তিগ্রাহ্য৤ এতদিন বাংলা ইউনিকোড ফন্ট যা ছিল আন্তর্জাতিক মানের ফন্ট, তা আরও অনেক অগ্রগত হয়ে এই ফন্ট দ্বিতীয় প্রজন্মে পৌঁছেছে৤ অর্থাৎ যুক্তবর্ণের জন্য কোত্থাও আর আটকাবে না৤ বিজ্ঞান এবং রঞ্জন লিখতে গিয়ে যে গোলমাল এখনও লোকে করে, তা সংশয়হীনভাবে লেখা যাবে৤ দুটোর রূপই তো আলাদা হয়ে গেছে৤ জ+ঞ=জ্ঞ এটি অবশ্য পুরানো কায়দাতেই রাখা হয়েছে, কারণ এটির রূপ পালটে দিলে উচ্চারণে বিভ্রাট হবে, তেমনি বজায় রাখা হয়েছে ক্ষ৤ ৩৯৫-এর মধ্যে কেবল এই দুটিকে অক্ষত রাখা হয়েছে৤ এ দুটিও বিশ্লিষ্ট করে লেখার ব্যবস্থা আছে, যেমন--  ক+ষ=ক্ষ→ ক্‍ষ, জ+ঞ=জ্ঞ→ জ্‍ঞ৤ পালটালে এদের বাংলা উচ্চারণ কঠিন হয়ে যাবে৤
          যুক্তবর্ণ এভাবে বিশ্লিষ্ট করে লেখার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভবিষ্যতে তা উচ্চারণ অনুসারী বানানে লেখার চিন্তা উদয় হবে৤ কারণ বর্ণ যুক্ত করেই লিখি আর যা-ই করি, আমরা দলা পাকালেও সেই সমাবেশের উচ্চারণ করে থাকি বাঙালি ঢঙ বা স্টাইলে৤ ক+ষ→ ক্ষ লিখছি আর মুখে বলছি খ্খ→খ্​খ, বড় জোর তা ‘ক্​খ’৤ তাই এভাবে লিখতে গিয়ে ভবিষ্যতে মনে হবে কেন ক+ষ লিখছি, খ+খ লেখাই তো ঠিক৤ এতে উচ্চারণ এবং বর্ণ সমাবেশে সাজুয্য আসবে৤ বানান নিয়ে সংকট কমবে৤
          বানানের ব্যাপারে একটি লিংক দেখা যেতে পারে, যদিও মনে হয় সহমত হবেন না বেশিরভাগ লোকই৤ সংস্কৃত বানানবিধি এখানে একেবারেই মানা হয়নি, বরং উলটো গাওয়া হয়েছে৤ তার লিংক:
ব্লগ-- বাংলানিবিড় BanglaNibir   শখের ভুল, যখের ধন:

          প্রথমে বাংলা লিখনের কারিগরি দিকের প্রতি নজর দেওয়া হল, যেন তা লিখতে পড়তে সুবিধে হয়৤ বিশ্বজুড়ে যে ইংরেজি হরফের কদর তা তার সারল্যের জন্য, লেখার আনুভূমিকতার জন্য৤ বাংলায় লিখতে হয় নানাভাবে-- ১৤হরফ পাশাপাশি বসিয়ে, ২৤হরফের সঙ্গে হরফ বা তার অংশ জুড়ে, ৩৤হরফের তলায় অন্যবর্ণের চিহ্ন বসিয়ে, ৪৤হরফের উপরে অন্য হরফের চিহ্ন বসিয়ে৤ এতে হরফের এক্স-হাইট বেশি লাগে৤ মানে লিখতে গেলে লাইনের উচ্চতার মধ্যে হরফের সব অংশ আঁটে না, তাই হরফ ছোটো করে তার বাহুর টিকি-লেজ ধরাতে হয়৤ ইংরেজিতে সে সমস্যা নেই৤ লেখা হল →






তবে কেমন হয়? সাধারণ ফন্টে ‘ই’-বর্ণটির ইলেক বা টিকি চিহ্ন লাইনের উচ্চতার সীমার বাইরে চলে যায়, কিন্তু বিশেষভাবে নির্মিত হরফে তা হরফের সম-উচ্চতা বিশিষ্ট হয়৤ এটা একটা বিরাট লাভ৤ 







          যদি বাংলাকে আধুনিক এবং গতির যুগের উপযুক্ত করতে হয়, তবে মনটাকে একটু খোলামেলা আধুনিক করতে হবে৤ খড়ম পায়ে টাই পরা যায় না৤ হয় খড়ম পরতে হবে, কিংবা টাই পরতে হবে৤ নাচতে নামব আবার ঘোমটাও টানব, এটা চলে না৤ বাংলাভাষা, তার লিখন, তার পঠন, সারল্য, ব্যবহার ইত্যাদি যদি আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যুগের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে না পারি, তবে আর নোবেল কেন, কেউ জানতেই পারবে না যে, বাংলা নামে একটা ভাষা এ বিশ্বে আছে৤ রবীন্দ্রনাথ তাঁর রচনার মাধ্যমে পৃথিবীর কাছে আমাদের পরিচিত করেছেন, আমরা যেন তার মান রাখতে পারি৤
          বাংলা ছাপায় যে কী ভয়ানক বিচ্যুতি দেখা যায় তার উদাহরণ দেখা যেতে পারে--




--লেখা হয়েছে, তহবিল গড়ুন আগে থেকেই৤ 
সেটি উপরনিচ দু-লাইনে লেখার ফলে ড়-এ উ-কার চিহ্ন(ু) নিচের লাইনের ই-বর্ণটির ঊর্ধ্ব ফলকের ভিতরে চলে এসেছে৤ ইংরেজি হরফে এমন কাণ্ড কখনও হতে পারে না৤ এটা বাংলা বর্ণ গঠন ও বিন্যাসের এক মস্ত ত্রুটি৤





সাহিত্য সৌকর্য তো আমাদের আছেই, সেই বৈষ্ণব সাহিত্য থেকে শুরু করে নোবেল পাওয়া অবধি৤ এবার চাই লিখনে এবং মুদ্রণে রমণীয় সৌন্দর্যের স্পর্শ, অবিসংবাদিত কারিগরি উন্নতি৤
পরের দোরে চাকুরি(চাকরগিরি) করে নিজেদের আর্থিক মেরুদণ্ড খুইয়ে বসে আছি আমরা, সে মেরুদণ্ড ফিরে পেতে হবে৤ তবেই এক ডাকে বিশ্বের সকলে বাঙালিকে চিনবে৤ খবরে দেখলাম বাংলাদেশে প্রায় ১লক্ষ ১৪ হাজার কোটিপতি আছে, এটা সরকারি হিসেব৤ এদিকে আমরা কী করছি? আমরাও যদি এই কোটিপতি পরিবারের সদস্য হতে পারি, তবেই বাঙালি আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে৤ ভিখিরির কোনও জাত নেই, মান নেই৤ সে কেবল ভিখিরিই৤ দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্পর্শের এখনও অবশেষ আছে৤ তেমন ধনী হতে হবে যা ঘাড় উঁচু করে সবাইকে দেখতে হবে৤



          ভারতীয় বা নন-রোমান হরফ ব্যবস্থায় এটি খুব কার্যকর পথ৤ একথা বলছি না যে, সবাই এপথ অনুসরণ করলে ভালো হবে, এগোতে পারবে৤ তবে এটা একটা কার্যকর সুষ্ঠু পথ৤ হরফে হরফে মিলিয়ে দলা পাকানো, কোনও শ্রেয় পথ নয়৤ হরফ স্পষ্টভাবে বোঝা যেতে হবে, এবং তা যুক্তবর্ণও হতে হবে৤ দুটি শর্তই এই পদ্ধতি রূপায়ণ করছে৤ অনেক সময়েই দুটি বা তিনটি হরফ মিলে তার কী যে চেহারা হবে তা মাতৃভাষীর পক্ষেই বোঝা কঠিন৤ তাই বিজ্ঞান লিখতে গিয়ে বিঞ্জান হয়ে যায়৤ আবার পণ্ডিত লোকও খেয়াল করেন না যে, ষ৏  হল ষ+ণ৤ অনেক সময়েই ভুল করে অনেকে ভাবেন এটা ষ+ঞ৤ যেহেতু ষ-এর পেটের উপরে একটা ঞ-এর বোঁচকা( ) আছে! আবার হ+ন=হ্ন, হ+ণ=হ্ণ লেখা হলে নির্ভুলভাবে বোঝা যায় কোনটা কোন ন/ণ৤ নয়তো

এমনি আরও আছে, সেগুলিও বিকৃতি৤ আমরা কি তা সেই বিকৃতভাবেই লিখে চলব, নাকি সঠিক ভাবে লিখব?
          এসব অকারণ জটিলতা রাখার দরকার কী? সেটা কি অভ্যাস বলেই রাখা নাকি পণ্ডিতদের ভয়ে রাখা৤ তাহলে পণ্ডিতেরাই বলুন এসব বিকৃতি ঘুচিয়ে লেখার ব্যবস্থা সরল হোক৤ যা চলছে, সেটা আসলে হরফের বিকৃতি, সে বিকৃত এবং ভ্রান্ত পিচ্ছিল পথ দূর হোক৤ পথ পিচ্ছিল বলেই বানানে পতন!
          লেখা একটা অভ্যেসের ব্যাপার, এটা কোনও প্রকৃতি প্রদত্ত উপায় নয়৤ সুতরাং অকারণ সময় নষ্ট না করে, সোজা পথেই চলাই ভালো৤ বিকৃত দলাপাকানো মণ্ডহরফ যে শিক্ষার পথ অবরোধ করে দাঁড়িয়ে আছে, আর এজন্য শিক্ষাছুট হচ্ছে তা নিয়ে গভীরভাবে ভাবা দরকার৤ সাধারণ মানুষের শিক্ষার পথে দলা পাকানো মণ্ড হরফ এক মস্ত বাধা৤ সে বাধা দূর হোক৤ একমাত্র আমরাই তা দূর করতে পারি৤